মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে। আমাদের পূর্ববর্তী নিবন্ধগুলিতে, আমরা সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে ট্রেন্ডলাইনের ব্রেকআউটটি ভুল সিগন্যাল দিতে পারে। বর্তমানে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য স্থানীয় সর্বোচ্চ লেভেলে ফিরে এসেছে এবং দৈনিক টাইমফ্রেমে বুলিশ কারেকশন অব্যাহত রাখার জন্য প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে প্রায় এক মাস ধরে চলমান এই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট এখনও দৈনিক চার্টে একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফলস্বরূপ, ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট বেশ জটিল বলে মনে হতে পারে, যার মধ্যে পুলব্যাক এবং পর্যায়ক্রমিক প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। গতকাল, এই পেয়ার ক্রয়ের কারণ ছিল, বিশেষ করে কারণ দিনের একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে JOLT-এর চাকরির সুযোগ - প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। যদি অন্যান্য মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফলও হতাশাজনক ছিল, ফলে ডলার আরও দুর্বল হতে পারে। তবুও, মনে রাখবেন যে এই বর্তমান দর বৃদ্ধি কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অতিরিক্তভাবে, বৃহস্পতিবার ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, যা ব্রিটিশ মুদ্রার জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষত যদি ব্যাংকটির কর্মকর্তাগণ ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
মঙ্গলবার ৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের শুরুতেই একটি দুর্দান্ত বাইউ সিগন্যাল দেখা যায়। এটি নতুন ট্রেডারদের সর্বনিম্ন লেভেলে লং পজিশন এন্ট্রি করার দুর্দান্ত সুযোগ করে দেয়। পরে, মূল্য 1.2445 এর লেভেল অতিক্রম করে, যার ফলে সারা দিনে এই পেয়ারের মূল্য মোট ৮০ পিপস বৃদ্ধি পায়, যা সহজেই মুনাফা হিসেবে অর্জন করা যেত।
বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
প্রতি ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, বর্তমানে স্বল্পমেয়াদে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে, যেটিকে আমরা একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করছি। মাঝারি মেয়াদে, আমরা সম্পূর্ণরূপে 1.1800-এর লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের প্রত্যাশা করছি, কারণ এটিই সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। এখন, আমাদের কেবল সেই মুহূর্তটির জন্য অপেক্ষা করতে হবে যে কখন দরপতন আবার শুরু হবে। এই সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট অস্থির এবং পযৌক্তিক হতে পারে।
বুধবার, সম্ভাব্যভাবে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হওয়ার আগে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ লেভেল এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট ও প্রতিবেদনগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত ট্রেডিং লেভেলগুলো গুরুত্বপূর্ণ: .2010, 1.2052, 1.2089–1.2107, 1.2164–1.2170, 1.2241–1.2270, 1.2301, 1.2372–1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798। বুধবার, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা খাতের PMI সূচক প্রকাশিত হবে, দুটিই বেশ গুরুত্বপূর্ণ সূচক। অতিরিক্তভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থানের পরিবর্তন সংক্রান্ত ADP থেকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা ট্রেডারদের মনোযোগ আকর্ষণ করবে। বৃহস্পতিবার ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক এবং অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তৃতা থাকবে অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।