মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা গেছে, যদিও এর জন্য কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছিল না। তবে, ফ্ল্যাট মার্কেটে কে কারণ খুঁজতে যাবে? এমনকি ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমেও এটি স্পষ্ট যে সাম্প্রতিক সময়ে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট মূলত সাইডওয়েজ ছিল। দৈনিক টাইমফ্রেমে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের ইঙ্গিত থাকলেও, ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে একের পর এক প্রবণতার পরিবর্তনের ধরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে। সামগ্রিকভাবে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোর মূল্যের মুভমেন্টকে কারেকশন হিসেবেই বিবেচনা করা যেতে পারে, যা সাধারণত কিছুটা বিভ্রান্তিকর হয়। কিছু সময়ের জন্য, আমরা ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে তুলনামূলকভাবে স্পষ্ট প্রবণতা লক্ষ্য করেছিলাম, তবে এখন এটি সম্পূর্ণ অনিশ্চিত মনে হচ্ছে।
গতকাল জেরোম পাওয়েলের ভাষণের পাশাপাশি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলিও একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। তবে, বেইলি ট্রেডারদের কোনো গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেননি। তিনি আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করলেও মুদ্রানীতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। ফলস্বরূপ, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে পাউন্ড এবং ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির পেছনে কোনো শক্তিশালী মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি নেই।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
মঙ্গলবার ৫-মিনিট টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। প্রথমত, এই কারেন্সি পেয়ারের মূল্য 1.2372–1.2387 জোন থেকে রিবাউন্ড করে, তারপর মূল্য এই জোন ব্রেক করে উপরের দিকে যায়। প্রথম সিগন্যালটি ভুল প্রমাণিত হয়েছিল, কারণ মূল্য প্রত্যাশিত দিকে ২০ পিপসও এগোতে পারেনি, যার ফলে ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করাও সম্ভব হয়নি। তবে, দ্বিতীয় সিগন্যালটি অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল, যা ট্রেডারদের প্রথম ট্রেডের ক্ষতি পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করেছে।
বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের স্বল্পমেয়াদী নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। তবে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোর এই পেয়ারের মূল্যের সামগ্রিক মুভমেন্ট দৈনিক চার্টে একটি কারেকশন হিসেবেই প্রতীয়মান হচ্ছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা পাউন্ডের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার পূর্বাভাস বজায় রাখছি এবং মূল্য সম্ভাব্যভাবে 1.1800 এর লেভেলের লক্ষ্যমাত্রার দিকে যাবে বলে আশা করছি, যা আমাদের মতে সবচেয়ে যৌক্তিক দৃশ্যপট। ট্রেডারদের উচিত দৈনিক টাইমফ্রেমের কারেকশন শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করা, তারপর নতুন করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া।
বুধবার, নতুনভাবে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে, কারণ বাজার পরিস্থিতি এখনও অত্যন্ত অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। গতকাল, কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছিল, এবং আজ একইভাবে নিম্নমুখী মুভমেন্টও শুরু হতে পারে।
আজ ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.2010, 1.2052, 1.2089–1.2107, 1.2164–1.2170, 1.2241–1.2270, 1.2301, 1.2372–1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680–1.2685, 1.2723, এবং 1.2791–1.2798। বুধবার, যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। তবে, যুক্তরাষ্ট্রে জেরোম পাওয়েল কংগ্রেসে তার দ্বিতীয় বক্তব্য প্রদান করবেন এবং জানুয়ারির মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন (CPI) প্রকাশিত হবে। আমরা ভোক্তা মূল্য সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদনের উপর বিশেষভাবে নজর দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেব।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।